Skip to main content

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তর

ড্রাইভিং লাইসেন্সের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন  ও উত্তর ঃ  



 প্রশ্ন : মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর ঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে
থাকে।

 প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ?
উত্তর ঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক) গ. ট্যাক্সটোকেন ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট
(মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বো”চ ৭আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)


 প্রশ্ন : গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?
উত্তর ঃ ক. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

খ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

গ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।

ঘ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

ঙ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।

চ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না

অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।

ছ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

জ. অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।

ঝ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অব¯’া, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা
করা।

০৪. প্রশ্ন : সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় এবং গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয় ?
উত্তর ঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘ¯’ায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে-কাজগুলো করা হয়, তাকে
সার্ভিসিং বলে। গাড়ি সার্ভিসিংয়ে করণীয় কাজ:

ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা
ফ্লাশ করা।

খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ
করা।
গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।
ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।

ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।


. প্রশ্ন : রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য 
উত্তর ঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং
মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।

প্রশ্ন : মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?
উত্তর ঃ মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান
অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)



 প্রশ্ন : সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?
উত্তর ঃ ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস, খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, গ. অননুমোদিত ওভারটেকিং এবং ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও
মালামাল বহন।

প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করনীয় কী ?
উত্তর ঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায়দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

 প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?
উত্তর ঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

 প্রশ্ন : মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?
উত্তর ঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

প্রশ্ন : অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে-লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারো বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান(পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।
১২. প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ?

উত্তর ঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

১৩. প্রশ্ন : কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ?

উত্তর ঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।
১৪. প্রশ্ন : হালকা মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তর ঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

১৫. প্রশ্ন : মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তর ঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির
অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

১৬. প্রশ্ন : ভারী মোটরযান কাকে বলে ?
উত্তর ঃ যে-মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাইওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।

১৭. প্রশ্ন : প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান (ঢ়ৎরাধঃব ংবৎারপব াবযরপষব) কাকে বলে ?
উত্তর ঃ ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে-মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনাভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

১৮. প্রশ্ন : ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?

উত্তর ঃ ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার। ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়,
খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।
১৯. প্রশ্ন : লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?

উত্তর ঃ নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্যবর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২০. প্রশ্ন : নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?

উত্তর ঃ করতে হবে বা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

২১. প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে ?
উত্তর ঃ সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে। 



২২. প্রশ্ন : নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন ?
উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমূলক সাইন।

২৩. প্রশ্ন : সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?
উত্তরঃ পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

২৪. প্রশ্ন : কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।
২৫. প্রশ্ন : ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী ?

উত্তর ঃ ৩ (তিন) প্রকার। যেমন- ক. বাহুর সংকেত, খ. আলোর সংকেত ও গ. শব্দ সংকেত।
২৬. প্রশ্ন : ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চμ বা অনুμম (ংবয়ঁবহপব) গুলি কী কী ?
উত্তর ঃ লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

২৭. প্রশ্ন : লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে ?
উত্তর ঃ লালবাতি জ্বললে গাড়িকে ‘থামুনলাইন’এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সুবজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবেএবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

২৮. প্রশ্ন : নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?
উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয়সেই পরিমাণ নিরাপদ দূরত্ব বলে।

২৯. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে?
উত্তর ঃ ২৫ মিটার।

৩০. প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে ?
উত্তর ঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৩১. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৩২. প্রশ্ন : নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।
৩৩. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তর ঃ হর্ন বাজানো নিষেধ।

৩৪. প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৩৫. প্রশ্ন : লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?
উত্তর ঃ পথচারী পারাপার নিষেধ।



#ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রশ্ন উত্তর বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি থেকে সংগ্রহ করা

Comments

Popular post

কোথায় শিখবেন গাড়ি চালানো

গাড়ি চালানো শিখতে হলে গাড়ি চালানো শিখতে হলে কোথায় শিখবেন? গাড়ি চালাতে জানতে হলে আপনাকে কোন ড্রাইভিং প্রশিক্ষন সেন্টারে যোগাযোগ করতে হবে। ড্রাইভিং প্রশিক্ষন  সেন্টার কোথায় পাবেন। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অনুমোদিত ড্রাইভিং স্কুল সারা দেশে মাত্র ৭৭টি শুধু ঢাকাতেই এ স্কুলের সংখ্যা ৫ শতাধিক। যত্রতত্র ছড়িয়ে থাকা এ সব ড্রাইভিং স্কুলের বেশির ভাগেরই নেই ব্যবসায়িক বা প্রাতিষ্ঠানিক লাইসেন্স। প্রশিক্ষকের নেই প্রশিক্ষণ সনদ। অনেক জায়গায় আবার একজন সনদপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকের বিপরীতে ৪-৫ জন অদক্ষ ও সনদহীন প্রশিক্ষক দিয়ে গাড়ি চালানো শেখানো হচ্ছে।  এমনকি দু’তিনটি ড্রাইভিং সেন্টারের প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছে ২০-২১ বছরের পুরুষ প্রশিক্ষক। বিআরটিসির ড্রাইভিং স্কুলে পেশাদার লাইসেন্সের জন্য খরচ হবে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩৪ টাকা এবং অপেশাদার লাইসেন্স মিলবে ২ হাজার ৩ টাকায় ড্রাইভিং স্কুলের ঠিকানা: ঢাকাসহ সারা দেশে সরকার অনুমোদিত বিআরটিসির মোট ১৭টি ড্রাইভিং প্রশিক্ষণের ইনস্টিটিউট রয়েছে।  যেখানে প্রশিক্ষকরা ব্যবহারিক ও তাত্তি¡ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন। বিআরটিসির ঢাকাসহ অ...

ড্রাইভিং কি ? ড্রাইভিং শিখতে হলে কি কি জানতে হয় ? কি যোগ্যতা থাকা দরকার?

 ড্রাইভিং কি  ?  ড্রাইভিং শিখতে হলে কি কি জানতে হয় ? কি যোগ্যতা থাকা দরকার?  ড্রাইভিং আসলে এক টি সব থেকে আলাদা জ্ঞান , সাধারন অর্থে  মোটরযানকে চালানোর জন্যই ড্রাইভিং    যন্ত্রচালিত যানকে চলাবেন যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে  ড্রাইভিং নয় যে কোন জিনিস প্রথমে অন্য রকম লাগে তেমনি  ড্রাইভিং শিখতে অনেকের ভীতি কাজ করে যাই হোক   ড্রাইভিং অন্য একটি মোটরযানকে নিয়মের মধ্যে নিজের দক্ষতায় চালিয়ে নেওয়াই ড্রাইভিং ড্রাইভিং শিখতে কি আলাদা যোগ্যতা লাগে?  নাহ আলাদা যোগ্যতা লাগেনা কিন্তু ধারনা থাকতে হ য় । কি ধারন থাকতে হবে?   আপনি কি চালাবেন গাড়ি? না মটর সাইকেল ? যা কিছুই চালানা কেন আপনাকে সেটি সম্পকে ভাল এক টি ধারনা থাকা জরুরি কারন আপনি গাড়ি চালানো শিখবেন কিন্তু আপনি গাড়ি কি গাড়ি কিভহাবে চলে সেটি সম্পর্কে কোন ধারনাই না থাকে তাহলে আপনি কিভাবে চালাবেন? কি ভয় পেলেন? না আপনাকে তেমন কিছু নয় কিন্তু ধরুন আপনি একটি কম্পিউটার কিনবেন তো কম্পিউটার কি আপনি জানেনা তাহলে কিভহাবে হল?  ঠিক তেমনি ড্রাইভিং সম্...

গাড়ি চালনার আগে করণীয়

 প্রশ্ন : মোটরযান কাকে বলে ? উত্তর ঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।  প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ? উত্তর ঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক) গ. ট্যাক্সটোকেন ঘ. ইনসিওরেন্স সার্টিফিকেট ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বো”চ ৭আসন বিশিষ্ট  ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?  ১. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। ২. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। ৩. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা। ৩. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া। ৪. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া। ৫. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট...